ঝিনাইদহ -৪ অাসনের এম পি আনারের ৪ বছরের উন্নয়নের প্রামান্য চিত্রের মহরত অনুষ্টান

ঝিনাইদহ -৪ অাসনের এম পি আনারের ৪ বছরের উন্নয়নের প্রামান্য চিত্রের মহরত অনুষ্টান
রিয়াজ উদ্দীন (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধিঃ
ঝিনাইদহ-৪ আসন এলাকায় গত ৪ বছরে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। যা স্বাধীনতা পরবর্তী কালের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে বলে দাবি করেছেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার।
ঝিনাইদহ -৪ অাসনের এম পি আনারের ৪ বছরের উন্নয়নের প্রামান্য চিত্রের মহরত অনুষ্টান
বুধবার সন্ধ্যায় কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ের সামনে মহরত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল হাই।এই সময় উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হাকিম,কালীগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছেদ আলী,কালীগঞ্জ থানা ইনচার্য অফিসার মিজানুর রহমান,কালীগঞ্জ চিনি মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জীব কুমার,সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন,জেলা পরিষদের সদস্য মোদাচ্ছের হোসেন,জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল,শামীয়ারা হাপি,কালীগঞ্জ প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ কালীগঞ্জ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিচুর রহমান মিঠু মালিতা। অনুষ্ঠান শেষে
  ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চারটি এবং কালীগঞ্জ উপজেলার একটি পৌরসভা ও ১১টি ইউনিয়ন মিলে ঝিনাইদহ-চার আসনের প্রতিটি গ্রামে, জনপদে ব্যাপক উন্নয়ন তুলে ধরেছেন।গত ৪ বছরে ঝিনাইদহ-৪ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের উন্নয়ন সম্পর্কিত গোলাম রসুল প্রযোজিত ও আব্দুর রাজ্জাক পরিচালিত প্রামান্য চিত্রের শুভ মহরত অনুষ্ঠানে ভিডিও চিত্র তুলে ধরেছেন।
১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়ার পর গত তিন বছরে এলাকার প্রভূত উন্নয়ন হয়েছে। এমন কোনো জনপদ নেই যেখানে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। তার মধ্যে রয়েছে মাহতাব উদ্দীন ডিগ্রি কলেজ ও নলডাঙ্গা ভূষণ পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় সরকারিকরণ।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান ও ডাকবাংলা মসজিদে ইসলামিক পাঠাগার নির্মাণ, ২১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার, ৭৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন স্কুলভবন নির্মাণ, ১৫টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে মাল্টি মিডিয়ায় রূপান্তর। কেন্দ্রীয় মডেল মসজিদে ১৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা বরাদ্দ এবং ৭৭টি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ১০ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
 ৫শ’ জন শিক্ষিত বেকার যুবককে বিনামূল্যে স্থানীয় চিনিকল, পুলিশ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেয়া হয়েছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১শ’১৩ জনকে ১ একর ১৩ শতক জমি দেয়া হয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য একটি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৬টি বাসস্থান ও ২০টি পরিবারের জন্য হাইলাইজ বিল্ডিং নির্মাণ করা হয়েছে।
 ২২ জন দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের ৭৫ হাজার টাকা এবং ৪০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে। ২শ’৮৪ জন মুক্তিযোদ্ধাকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। ১শ’৫৪ কোটি ব্যয়ে ১শ’৮০ কি.মি নতুন রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। এক কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।
১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নির্মাণ কাজ, বৃহত্তর খুলনা প্রকল্পের আওতায় সাড়ে ৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রিজ নির্মাণ কাজ এবং মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সাড়ে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ৭৬টি বায়োগ্যাস প্লান্ট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। ১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে বারফা, আলাইপুর ও টিকারী এবং ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে ইছাখানা, ভোলপাড়া, রামচন্দ্রপুর ও তালিয়ানে ব্রিজ নির্মাণ চলছে।
পাঁচ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ, দেড় লাখ টাকা ব্যয়ে কোলা ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ হয়েছে। ১শ’১৮টি প্রতিষ্ঠানে টিআর, ২৫টি খেলার মাঠে গোলবার নির্মাণ, ২০টি প্রতিষ্ঠানে স্কাউট ড্রাম সেট ক্রয়, ৬শ’৯৮টি প্রতিষ্ঠানে সোলার, ৯০টি রাস্তায় কাবিখা, ১শ’৮৯টি প্রতিষ্ঠানে কাবিটা, ২শ’৩৩টি প্রতিষ্ঠানে সোলার পিলার প্রদান করা হয়েছে। সবকটি কমিউনিটি ক্লিনিক মেরামত এবং দুইটি নতুন ক্লিনিক নির্মাণ ও সবকটিতে আধুনিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম বটগাছ ও গাজীকালু চম্পাবতীর মাজারের শোভাবর্ধন করা হয়েছে। সাবরেজিস্ট্রি অফিস ভবন ও নয়টি তহসিল অফিস ভবন।
তিনটি তহসিল অফিস এরইমধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ২১টি স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণ হয়েছে। ১শ’২৩ জন দুঃস্থ ব্যক্তিকে ৭০ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ২৫ জন দুঃস্থ মহিলাকে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা ও ২২টি সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। এলাকার ১ হাজার ১শ’ ৯৯ জনকে মাতৃত্বভাতা, ১ হাজার ৩শ’ ২৯ জনকে ভিজিটি কার্ড, ৩শ’৬০ জনকে ল্যাকটেট্রিন মাদার কার্ড দেয়া হয়েছে। ৬হাজার ৭শ’ ৬৫ জনকে বয়স্ক ভাতা, ৩ হাজার ৩শ’ ৪০ জনকে বিধবা ভাতা, ১ হাজার ৬শ’ ২৪ জনকে প্রতিবন্ধী ভাতা, ৪ জনকে হিজরা ভাতা, ২৫ জনকে বেদে ভাতা, ১শ’৪৫ জন প্রতিবন্ধী সন্তানকে উপবৃত্তি, ১শ’৪৫ জন বেদে সন্তানকে উপবৃত্তি, ৭টি এতিমখানার ১শ’৭৫ জনকে ভাতা দেয়া হচ্ছে। হাসপাতালের ১শ’২৯ জন রোগীকে ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সেবা দেয়া হচ্ছে।
 ৭৫ জন ক্যান্সার ও কিডনি রোগীকে ৩৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা সাহায্য করা হয়েছে। ৪শ’৮০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে ৬৪ লাখ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। কালীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনকে তৃতীয় শ্রেণি হতে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে। নিজস্ব অর্থায়নে দলীয় কার্যালয়, ক্রীড়া ভবন, ডায়াবেটিক হাসপাতালের নির্মাণ ও সংস্কার কাজ করানো হয়েছে। মহিলা সমিতিতে ৩০টি সেলাই মেশিন দেয়া হয়েছে। সুধীজনের অর্থায়নে পৌরসভায় সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
এছাড়া চিত্রা নদী পুনখনন, ৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৬টি মাদরাসা ভবন নির্মাণ, ডিজিটাল গ্রন্থাগার, অডিটোরিয়াম, মুক্তমঞ্চ, বারোবাজার ফুড গোডাউন নির্মাণসহ ১শ’৫ কোটি টাকা ব্যয়ে কালীগঞ্জ শালিখা ও , বাজার চাঁদনী নির্মাণ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়নে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment